সফটওয়্যার ক্র্যাক, প্যাচ, কীজেন, সিরিয়াল | অবৈধ? — বিস্তারিত

<p dir=ltr>আমরা সকলেই ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পছন্দ করি, কিন্তু অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ফ্রী ব্যবহার করা যায় না, কোম্পানিকে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনার টাকা দিতে হয়। প্রায় সকল কাজের জন্য ফ্রী সফটওয়্যার পাওয়া গেলেও প্রফেশনাল বা হাই এন্ড কাজের জন্য পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। যেমন ধরুন, মোজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, ভিএলসি, মিডিয়া প্লেয়ার ক্ল্যাসিক, ৭জিপ ইত্যাদি ফ্রী সফটওয়্যার; অর্থাৎ এগুলো ব্যবহার করার জন্য এর সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিকে আপনার কোন টাকা দিতে হয়না। কিন্তু অপরদিকে মাইক্রোসফট অফিস, অ্যাডোব সফটওয়্যার, কোরেল সফটওয়্যার, অটোডেস্ক সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে টাকা প্রদান করতে হয়। “এক মিনিট!… এগুলো চালাতে টাকা লাগে? কে বলেছে আপনাকে? আমি ৫ বছর ধরে এখনো ফ্রী চালিয়ে আসছি, ঠিক আছে?” —ঠিক আছে, কিন্তু আপনি নিশ্চয় সফটওয়্যার গুলোকে বৈধভাবে ব্যবহার করছেন না। আপনি পেইড সফটওয়্যার গুলোকে <b>সফটওয়্যার ক্র্যাক</b>, <b>প্যাচ</b>, <b>কীজেন</b>, <b>সিরিয়াল</b> ইত্যাদির মাধ্যমে অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয় গুলোর উপরই বিস্তারিত আলোচনা করবো।</p> <p dir=ltr><b>পেইড সফটওয়্যার?</b></p> <p dir=ltr>পেইড সফটওয়্যার, এর নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পে করতে হবে, মানে অর্থ বা টাকা প্রদান করতে হবে। দেখুন, কোন সফটওয়্যার তৈরি করা নিশ্চয় সহজ কাজ নয়। সফটওয়্যার ডেভেলপারদের অনেক পরিশ্রম আর লাখো কোডিং করার পরে কোন সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হয়। ফটোশপ, প্রিমিয়ার, অফিস ইত্যাদির মতো বড় বড় সফটওয়্যার গুলো একা কোন ডেভেলপারদের দ্বারা তৈরি করা সম্ভবও নয়, এক্ষেত্রে বড় সফটওয়্যার গুলো বানাতে কোন কোম্পানি সেই সফটওয়্যারের উপর ইনভেস্ট করে, ডেভেলপারদের নিয়ে টিম তৈরি করে এবং সকলের হার্ড ওয়ার্কের পর সফটওয়্যার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। সফটওয়্যার তৈরি শেষ করার পরে কোম্পানি সেগুলোকে বাজারজাত করে এবং সফটওয়্যার গুলো বিক্রি করে মুনাফা লাভ করে। বলতে পারেন সফটওয়্যার নির্মাণকারী কোম্পানিদের কাছে এটি একটি ব্যবসা।</p> <p dir=ltr>বেশিরভাগ পেইড সফটওয়্যারের ট্র্যায়াল ভার্সন থাকে এবং সেটা নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য। অর্থাৎ আপনি সফটওয়্যারটি কেনার আগে চালিয়ে দেখতে পারবেন, হয়তো ট্র্যায়াল অবস্থায় কিছু ফিচার অফ থাকতে পারে কিন্তু আপনি চালাতে পারবেন। ট্র্যায়াল ভার্সন ব্যবহার করার পরে আপনাকে সফটওয়্যারটি কিনতে হয় এবং এর মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড বা সফটওয়্যার কোম্পানির টার্ম অনুসারে দেওয়া সময় পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু পেইড সফটওয়্যার একবার কিনে নিলে আপনি সেগুলোকে সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবেন, আবার কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যারা মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন আঁকারে লাইসেন্স বিক্রি করে।</p> <p dir=ltr>পেইড সফটওয়্যার গুলো মূলত মালিকানাধীন কোড দ্বারা আবদ্ধ করা থাকে; অর্থাৎ এই সফটওয়্যারটি মূলত কোন কোড দ্বারা তৈরি করা হয়েছে তা কেউ দেখতে পায় না। আবার ফ্রী সফটওয়্যার গুলোও মালিকানাধীন কোড দ্বারা আবদ্ধ থাকতে পারে, সফটওয়্যারটি হয়তো ফ্রী কিন্তু এর কোড দেখতে পাওয়া যাবে না। পেইড সফটওয়্যার কোড ওপেন সোর্সও হতে পারে, অর্থাৎ সফটওয়্যারটি টাকা দিয়ে কিনতে হবে এবং সাথে আপনি দেখতেও পারবেন এটি কোন কোডে তৈরি করা হয়েছে।</p> <p dir=ltr>“ভাই, এখানে আমার একটি প্রশ্ন রয়েছে! পেইড সফটওয়্যার গুলো যখন একবার কোম্পানি দিয়েই দিচ্ছে “সেটা হোক ট্র্যায়াল ভার্সন” তাহলে আবার সফটওয়্যারটি কিনতে হবে কেন? সফটওয়্যারটি তো আছেই আমার কাছে!” —হ্যাঁ, সফটওয়্যারটি আপনার কাছে থাকলেও, ডেলেলপাররা সফটওয়্যারটিকে এমন রুল দিয়ে রেখেছে যে সেটি আপনার সিস্টেমে ট্র্যায়াল পিরিয়ড পর্যন্ত চলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। এরপরে আপনাকে কোম্পানি থেকে কোন লাইসেন্স কী বা সিরিয়াল নাম্বার কিনে ঐ সফটওয়্যারটিতে বসালে সফটওয়্যারটি আবার কাজ করতে আরম্ভ করবে। এখানে উল্লেখ্য যে, সফটওয়্যারটি চালু রাখতে শুধু ঐ কোম্পানি থেকেই লাইসেন্স কী কিনতে হবে, এবং ঐ সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিরায় “কী” এর গোপন অ্যালগোরিদম সম্পর্কে জানেন। আবার বর্তমানে অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি অনলাইন নির্ভর একটিভেশন সিস্টেম চালু করেছে, এতে কোম্পানি থেকে দেওয়া ইউজারনেম আর পাসওয়ার্ড দ্বারা সফটওয়্যারটিতে লগইন করলে সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে “কী” এসে সফটওয়্যারে বসে যাবে এবং কাজ করতে আরম্ভ হয়ে যাবে।</p> <p dir=ltr><b>সফটওয়্যার ক্র্যাক</b></p> <p dir=ltr><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2017/03/software-1067128_640.jpg"></p> <p dir=ltr>আমরা যে পেইড সফটওয়্যার গুলোকে তার প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে টাকা না দিয়ে ব্যবহার করি সেটা ঐ সফটওয়্যারের ক্র্যাক ভার্সন। কোন ক্র্যাকার কোন পেইড সফটওয়্যারের ফুল একটিভেশন সিস্টেমকে বাইপাস করে দেয় ফলে সফটওয়্যারটি আর একটিভ করারই প্রয়োজন পড়ে না, সফটওয়্যারটি সারাজীবন ট্র্যায়াল ভার্সনেই থেকে যায় এবং কাজ করতে থাকে। ট্র্যায়াল ভার্সনে যদি কোন ফিচার লক করা থাকে, ক্র্যাকার সেই ফিচারকে আনলক করে দেয় এবং ফুল ভার্সন করে দেয়। আর ক্র্যাকার দ্বারা মডিফাই করা সফটওয়্যারটি যখন আপনি ব্যবহার করেন, এটাই হলো মূল ভার্সনের ক্র্যাক ভার্সন।</p> <p dir=ltr>কোন সফটওয়্যার যেমন ক্র্যাক করা অবৈধ, ঠিক তেমনি ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করাও অবৈধ, এই সকল বিষয় গুলো পাইরেসির দিকে ইশারা করে। ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করলে সফটওয়্যার কোম্পানিদের সাথে ধোঁকা দেওয়া হয় এবং তারা অনেক লসের শিকার হয়। কথাটি শুনতে তেঁতো হলেও সত্য, আমাদের দেশের বেশিরভাগ ইউজারই ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। আর করবেও কি বলুন, যেখানে এতো কষ্ট করে কোন মতে আমরা একটি কম্পিউটার কিনতে পাই সেখানে এতো টাকা খরচ করে কীভাবে সফটওয়্যার কিনবো? শুধু পার্সোনাল ইউজাররা নয়, বরং প্রফেশনালরাও ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, আর আমি এর একদমই সমর্থন করি  না। আপনারা যারা ছাত্র রয়েছেন, যারা শেখার কাজে ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন, যদিও এটি অবৈধ, তারপরেও আমাদের দেশের দৃষ্টি থেকে একদিকে ঠিক আছে। কিন্তু যারা স্টুডিও চালান, বিজনেস করেন, প্রফেশনাল ভিডিও এডিট বা ফটোগ্রাফির কাজ করেন তাদের ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যেহেতু তারা তাদের কাজ থেকে মুনাফা পাচ্ছেন, তাই তাদের কর্তব্য সফটওয়্যার কোম্পানিদের সাহায্য করা।</p> <p dir=ltr>পেইড সফটওয়্যার গুলোর সোর্স কোড কিন্তু লক করা থাকে বা পাবলিশ করা হয় না, তাহলে প্রশ্ন ক্র্যাকার কীভাবে এই কোড গুলো পড়ে সফটওয়্যার বাইপাস করে? দেখুন তারা সফটওয়্যারটি বিভিন্নভাবে চেক করে এবং সফটওয়্যারটিতে দুর্বলতা খোঁজার চেষ্টা করে। দুর্বলতা পেয়ে গেলে সেখানে নিজেদের তৈরি করা স্ক্রিপ্ট ইঞ্জেক্ট করিয়ে সফটওয়্যারটিকে ক্র্যাক করে ফেলে। তবে প্রত্যেকটি সফটওয়্যার কিন্তু একই নিয়মে ক্র্যাক হয়না। হতে পারে কোন সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করা চাকুরিজীবী ঐ সফটওয়্যারের সোর্স কোড ক্র্যাকারের কাছে লিক করে। এরকমটা করার কারণ হচ্ছে, বিশেষ করে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যার পাইরেসি মার্কেটের অনেক চাহিদা। যারা সফটওয়্যার পাইরেসি করে, তারা কোটিকোটি টাকা কামিয়ে ফেলে। আপনি হয়তো ভাবছেন, “কোথায় ফ্রী রে ভাই, আমি তো বাজার থেকে সফটওয়্যার ডিভিডি কিনে এনে সফটওয়্যার ইউজ করি” —দেখুন বাজার থেকে ৩০টাকা দিয়ে আপনি যে ডিভিডি কিনে আনেন সে টাকা সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে নয় বরং ক্র্যাকারের কাছে বা যারা পাইরেসি করে তাদের কাছে যায়। আর অরিজিনাল মার্কেটে ৩০/৪০ টাকার কোন সফটওয়্যার নেই, জেনুইন সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।</p> <p dir=ltr>হতে পারে আপনার কম্পিউটারে যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন সেটিও ক্র্যাক ভার্সন, তবে আপনি জেনুইন ভার্সনও ব্যবহার করতে পারেন, এক্ষেত্রে আমি বেশিরভাগ ইউজারদের কথা বলেছি। হ্যাঁ, উইন্ডোজ একটি পেইড অপারেটিং সিস্টেম, তাই এটি কিনে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ক্র্যাকাররা এর একটিভেশন সিস্টেমকে বাইপাস করে দেয় ফলে কোম্পানি থেকে কোন সিরিয়াল নাম্বার প্রবেশ করানোর প্রয়োজনীয়তায় থাকে না। বর্তমানে সফটওয়্যার কোম্পানিরা অনলাইন ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করেছে যাতে সফটওয়্যার একটিভ করার আগে কোম্পানির সার্ভার থেকে ভেরিফাই করা যায়। এক্ষেত্রে ক্র্যাকাররা আরো এক ধাপ আগে, ক্র্যাকাররা ঐ সফটওয়্যারের অনলাইন সিস্টেমকেই ব্লক করে দেয়, ঐ সফটওয়্যারটি আর সার্ভারের সাথে কানেক্ট হতেই পারে না, ফলে সফটওয়্যারটির আর ফ্রী চলা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।</p> <p dir=ltr><b>সফটওয়্যার প্যাচ এবং কীজেন</b></p> <p dir=ltr>শুধু ক্র্যাকাররা নয়, সফটওয়্যার কোম্পানি থেকেও কোন সফটওয়্যারকে প্যাচ করা হতে পারে। তবে অবশ্যই দুই জায়গার উদ্দেশ্য আলাদা। কোম্পানিরা সফটওয়্যারটিকে প্যাচ করে এতে নতুন ফিচার যুক্ত করার জন্য কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো ফিক্স করার জন্য এবং সিকিউরিটি আরো বাড়ানোর জন্য। আর ক্র্যাকাররা সফটওয়্যার প্যাচ করে সফটওয়্যারটি ক্র্যাক করার জন্য, এর একটিভেশন প্রসেসকে বাইপাস করার জন্য। <b>প্যাচ</b> বলতে, বলতে পারেন এটি সফটওয়্যারের মধ্যে আরেকটি সফটওয়্যার যেটা ঐ সফটওয়্যারকে মডিফাই করার ক্ষমতা রাখে। এখন কোম্পানি প্যাচ সিস্টেম রাখে সফটওয়্যারকে আপডেট রাখার জন্য কিন্তু ক্র্যাকার ঐ পথেই সফটওয়্যারের সর্বনাশ করে। ধরুন একটি সফটওয়্যার একটিভেশনের জন্য তার কোম্পানির সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে, এখন ক্র্যাকার ঐ সফটওয়্যারটিতে এমন একটি প্যাচ আপডেট দিয়ে দেবে যাতে আর ঐ সফটওয়্যারটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ না করে, এবং যোগাযোগ না করেই একটিভ হয়ে যায়।</p> <p dir=ltr><b>কীজেন </b>কে <b>কী জেনারেটর</b> ও বলা হয়। যখন আপনি কোন পেইড সফটওয়্যার টাকা দিয়ে কেনেন, ঐ সফটওয়্যার কোম্পানি আপনাকে একটি কী সরবরাহ করে বা একটি সিরিয়াল নাম্বার সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো সিরিয়াল নাম্বার প্রবেশ করালে কিন্তু সফটওয়্যারটি কাজ করবে না। সফটওয়্যারটিতে একটি বিশেষ অ্যালগোরিদম থাকে যেটার রহস্য শুধু ঐ কোম্পানির কাছে থাকে। এখন ক্র্যাকার ঐ অ্যালগোরিদমের রহস্য বেড় করে ফেলে এবং একটি ছোট্ট সফটওয়্যার তৈরি করে যেটা কোম্পানির মতো করেই সিরিয়াল নাম্বার জেনারেট করতে পারে। আর একই অ্যালগোরিদমের উপর নাম্বার জেনারেট করলে অবশ্যই সফটওয়্যারটি কাজ করবে। আগে শুধু সিরিয়াল নাম্বার থাকলেই কাজ হতো কোন ক্র্যাক করার দরকার পড়তো না। ধরুন আমি একটি সফটওয়্যারের সিরিয়াল নাম্বার কিনলাম, তো নাম্বার তো আমার কাছে থেকেই গেলো, সেটা আপনি আপনাকে শেয়ার করলাম আর আপনিও সফটওয়্যার একটিভ করে ফেললেন। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ সফটওয়্যারের সিরিয়াল শুধু একটি ইউজারের ক্ষেত্রেই কাজ করে। তাই আলাদা ইউজারদের একটিভ করার জন্য এমন সিস্টেমের প্রয়োজন হয় যেটা র‍্যান্ডমভাবে সিরিয়াল নাম্বার জেনারেট করতে পারে। আর এই কাজেই কীজেনকে ব্যবহার করা হয়।</p> <p dir=ltr><b>শেষ কথা</b></p> <p dir=ltr>আজকের আর্টিকেলটি কোন নিরাপত্তা বিষয়ক আর্টিকেল নয়, আমি শুধু বোঝাবার চেষ্টা করলাম কীভাবে সফটওয়্যার ক্র্যাক, প্যাচ করা হয় এবং কীভাবে কীজেন কাজ করে। ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করার অপকারিতা সম্পর্কে আমি অনেক আর্টিকেলে পূর্বেই আলোচনা করেছি। আমি আপনাকে কখনোই ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে উৎসাহ প্রদান করবো না, তবে একজন ইউজার হিসেবে আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। তবে ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখুন সেটা যেন কোন বিশ্বস্ত সোর্স থেকে হয়। কেনোনা ক্র্যাক সফটওয়্যারের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে।</p> <p dir=ltr>তো আপনি কি ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করেন? নাকি ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহার করাকেই বেশি পছন্দ করেন, নিচে আপনার মতামত গুলো আমাদের কমেন্ট করে জানান।</p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0-nxDBdAzNdEXP943CDuFuOcNuBW9H94cIL7W2F0gHsWrKE19GJoSTI2tFoDU4ncJDHDSzJVsaoLHlnDcFt38ys_gGMvHsrl0QiuKhefMRSnqNNIb6HbUXTam7nO3MVkWGOmmKpTY5_E/s1600/IMG_20170408_190500.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0-nxDBdAzNdEXP943CDuFuOcNuBW9H94cIL7W2F0gHsWrKE19GJoSTI2tFoDU4ncJDHDSzJVsaoLHlnDcFt38ys_gGMvHsrl0QiuKhefMRSnqNNIb6HbUXTam7nO3MVkWGOmmKpTY5_E/s640/IMG_20170408_190500.jpg"> </a> </div>

সফটওয়্যার ক্র্যাক, প্যাচ, কীজেন, সিরিয়াল | অবৈধ? — বিস্তারিত

আমরা সকলেই ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পছন্দ করি, কিন্তু অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ফ্রী ব্যবহার করা যায় না, কোম্পানিকে এই সফটওয়্যার গুলো ব...

আরও পড়ুন »

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা কতটা সহজ?

<p dir="ltr">আপনি যদি কোন কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক পোকা হয়ে থাকেন, তবে নিশ্চয় ওয়াইফাই সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করে দেখেছেন। আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা কতটা শক্তিশালী—এটি অবশ্যই একটি ভেবে দেখার মতো ব্যাপার। আপনি হয়তো মনে করছেন, <a href="https://bn.techubs.net/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE/">অনেক লম্বা এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড</a> ব্যবহার করে বা আপনার নেটওয়ার্ক কে লুকায়িত রেখে বা সর্বাধুনিক নিরাপত্তা স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়াইফাই কে নিরাপদে রেখেছেন। কিন্তু সত্যি কি তাই? এখনো আপনার <b>ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক</b> হয়ে যেতে পারে। এই আর্টিকেলটি আপনার অবশ্যই পড়া প্রয়োজন, এতে আপনি অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।</p> <p dir="ltr"><b>লুকায়িত নেটওয়ার্ক এসএসআইডি</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/UXYE0.jpg"></p> <p dir="ltr">আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এসএসআইডি লুকিয়ে রেখে নিরাপদে বসে থাকা সম্পূর্ণ বোকামু। অত্যন্ত সাধারন কিছু ওয়াইফাই হ্যাকিং টুল ব্যবহার করে সহজেই হিডেন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এসএসআইডি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আপনার পরিবারের সদস্য বা আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আপনার দোকানের কাস্টমার হয়তো আপনার লুকিয়ে রাখা নেটওয়ার্কে কানেক্ট হতে পারবে না। কিন্তু একজন হ্যাকার সহজেই আপনার হিডেন নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করবে এবং অন্য কোন টুল চালু করে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা শুরু করে দেবে।</p> <p dir="ltr"><b>উপদেশ</b>— আপনার নেটওয়ার্ক এসএসআইডি লুকিয়ে রাখার তেমন বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই। অনেক সময় হ্যাকার লুকায়িত নেটওয়ার্ক দেখে কৌতূহল বশত হ্যাক করার চেষ্টা করে। তো যে জিনিষ লুকিয়ে রাখায় যায়না, সেটা মিথ্যা লুকানোর চেষ্টা করে কি লাভ?</p> <p dir="ltr"><b>ডব্লিউইপি (</b><b>WEP</b><b>) পাসওয়ার্ড</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/wepcrack.jpg"></p> <p dir="ltr">ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কে নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য ডব্লিউইপি পাসওয়ার্ড একটি পুরাতন উপায় ছিল। ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের চারিদিকে ব্রডকাস্ট হওয়া ট্র্যাফিক থেকে প্যাকেট সংগ্রহ করে অনেক সহজেই ডব্লিউইপি ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা সম্ভব। তাছাড়া এক বিশেষ ধরনের <a href="https://bn.techubs.net/tag/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0/">রাউটার</a> ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো লোকাল ডব্লিউইপি নেটওয়ার্ক ক্র্যাক করা সম্ভব। এই রাউটারটি ডব্লিউইপি নেটওয়ার্ক ক্র্যাক করে সেই সিগন্যালকে সঠিক এবং শক্তিশালী সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে রি-ব্রডকাস্ট করে।</p> <p dir="ltr">দুঃখজনক ভাবে এখনো পর্যন্ত অনেক পুরাতন ডিভাইজ ডব্লিউপিএ (WPA) এর সাথে বেমানান। পুরাতন আইফোন বা পুরাতন গেমিং কনসোল বা অনেক পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোন ডব্লিউপিএ কে সমর্থন করে না।</p> <p dir="ltr"><b>উপদেশ</b>— কখনোয় আপনার রাউটারে শুধু ডব্লিউইপি নির্ভর পাসওয়ার্ড সেট করে রাখাবেন না। আপনার কাছে যদি এমন কোন ডিভাইজ থাকে যা ডব্লিউপিএ সমর্থন করে না—তবে এবার সময় এসেছে সেই ডিভাইজ গুলোকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার। আজকের দিনে ডব্লিউইপি ব্যবহার করার কোন প্রশ্নয় আসেনা। যদি আপনি এখনো ডব্লিউইপি ব্যবহার করেন, তবে যে কেউই অনেক সহজে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করে নেবে, আপনার ওয়েব ট্র্যাফিকের উপর নজর রাখতে পারবে, আপনার সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুলো ব্যবহার করতে পারবে এবং আরো ভয়ানক কিছু ঘটে যেতে পারে আপনার সাথে।</p> <p dir="ltr"><b>ডব্লিউপিএ (WPA) সিকিউরিটি</b></p> <p dir="ltr">আপনি হয়তো ভাবছেন, “আমি নিরাপদে আছি—কেনোনা আমি ২৫ অক্ষরের লম্বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি এবং আমার নেটওয়ার্ক WPA2-PSK দ্বারা সুরক্ষিত যা সর্বউত্তম নিরাপত্তা ব্যবস্থা।” ঠিক আছে, হয়তো আপনি সত্যিই বলছেন। কিন্তু তারপরেও এখনো আপনি সম্পূর্ণ নিরাপদে নেই। আজকের বেশিরভাগ রাউটার <b>ডব্লিউপিএস</b> (WPS) নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ডব্লিউপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কোন ডিভাইজকে সহজেই বা এক টাচে কানেক্ট করার জন্য। যেমন গেমিং কনসোল বা ওয়াইফাই প্রিন্টার শুধু এক টাচ করে রাউটারের সাথে সংযুক্ত করানো হয়। টাচ করার পরে একটি ৮ অঙ্ক সংখ্যা প্রবেশ করানোর প্রয়োজন পড়ে, যা রাউটারের গায়ে বা নিচের দিকে আগে থেকেই প্রিন্ট করা থাকে।</p> <p dir="ltr">এখন এই ৮ অঙ্ক সংখ্যা পাসওয়ার্ড সহজেই বাইপাস করা সম্ভব। তবে অনেক রাউটারে পরপর ৩ বার ভুল পাসওয়ার্ড প্রবেশ করালে ৬০ সেকেন্ডের জন্য কানেক্ট হওয়া থেকে সাসপেন্ড করে রাখে। তাই ব্রুটফোর্স অ্যাটাকের (এলোমেলো ভাবে সংখ্যা সাজিয়ে আসল পাসওয়ার্ড বের করার চেষ্টা) মাধ্যমে  ৮ অঙ্ক সংখ্যা ক্র্যাক করতে সময় লেগে যাবে প্রায় ৬.৩ বছর। তো চিন্তার আর কি থাকলো?</p> <p dir="ltr">চিন্তার বিষয় আছে বন্ধুরা। হ্যাকার এই ৮ সংখ্যার পাসওয়ার্ডকে ৪ সংখ্যার ২টি অংশে বিভক্ত করে নেবে। এবার প্রথম ৪ সংখ্যা অনুমান করার চেষ্টা করবে। প্রথম ৪ সংখ্যা সঠিকভাবে মিলে গেলে আপনার রাউটার তার কাছে সাহায্য করার জন্য একটি নোটিফিকেশন পাঠাবে, “আপনি প্রথম অর্ধেক পাসওয়ার্ড সঠিক প্রবেশ করিয়েছেন”। এবার মিলে যাওয়া প্রথম ৪টি সংখ্যা ঠিক রেখে হ্যাকারের প্রয়োজন পড়বে বাকি অর্ধেক চার সংখ্যার। অর্থাৎ আপনার ৮ সংখ্যার নাম্বার হয়ে গেলো ৪ সংখ্যায়। এখন প্রত্যেকটি সেটে মাত্র ১০,০০০ সমন্বয় থাকবে। ফলে ৬.৩ বছরের অপেক্ষা কমে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার হবে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়া। আবার অনেক রাউটারে ৬০ সেকেন্ডের সাসপেন্ড অপশন থাকে না। ফলে আপনার সর্বাধিক সুরক্ষিত ডব্লিউপিএ পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এবার নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন?</p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/wifi-hack.jpg"></p> <p dir="ltr"><b>উপদেশ</b>—</p> <p dir="ltr"><b>ডব্লিউপিএস কে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রাখুন</b>— অনেক রাউটারে ডব্লিউপিএস কে আলাদা পিন ব্যবহার করে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। আবার ডব্লিউপিএস কে সংখ্যার পাসওয়ার্ডে না রেখে <b>আলফানিউমেরিক</b> (অক্ষর এবং সংখ্যা একসাথে) পাসওয়ার্ডে পরিবর্তন করার অপশন থাকে। তবে সবচাইতে ভালো হয় এটি বন্ধ করে রাখলে।<b>ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন</b>— কাজ শেষে আপনার রাউটারটি বন্ধ করে রাখায় শ্রেয়। যদি আপনার একটির বেশি ডিভাইজ না থাকে বা ওয়াইফাই এর তেমন প্রয়োজন না থাকে তবে সরাসরি আপনার ক্যাবল কোম্পানির বা আইএসপির সরবরাহ করা ইন্টারনেট ব্যবহার করুন।<b>আপনার রাউটারের ফার্মওয়্যার সর্বদা আপডেট রাখুন</b>— যখনই আপডেট আসবে, ব্যাস দেরি না করে আপডেট সেরে ফেলুন।</p> <p dir="ltr"><b>শেষ কথা</b></p> <p dir="ltr">সত্যি কথা বলতে ১০০% নিরাপদ ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বলে কিছু নেই। আপনি যতো বড়ই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, আর সর্বাধিক সিকিউরিটিই ব্যবহার করুন, আপনার নেটওয়ার্ক এখনো হ্যাক হওয়ার যোগ্য হয়ে থাকবে। কিন্তু আপনি সত্যিকার অর্থে যদি নিরাপদ থাকতে চান তবে, রাউটার থেকে আলাদা ওয়্যারলেস ফাংশন গুলো বন্ধ করে রাখুন অথবা সম্পূর্ণরূপে ডব্লিউপিএস বন্ধ করে রাখুন। এবার পরীক্ষা করার জন্য হ্যাকিং টুলস ব্যবহার করে নিজের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালান, যদি কোন ত্রুটি খুঁজে না পান তবেই আপনি থাকবেন সত্যিকারের সুরক্ষিত।</p> <blockquote><p dir="ltr">আশা করছি পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনার কাছে আরো কোন নতুন নিরাপত্তা টিপস থাকলে তা নিচে কমেন্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। অথবা আপনার যেকোনো প্রশ্নে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। আর পোস্টটি সকলের সাথে শেয়ার করতে একদমই ভুলবেন না।<br> </p> </blockquote> <p dir="ltr"><br> </p>

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা কতটা সহজ?

আপনি যদি কোন কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক পোকা হয়ে থাকেন, তবে নিশ্চয় ওয়াইফাই সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করে দেখেছেন। আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্ত...

আরও পড়ুন »

রাউটার, হাব, এবং সুইচ | যেগুলো ছাড়া নেটওয়ার্কিং অচল

<p dir="ltr">ইন্টারনেট বা যেকোনো সাধারন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম সম্পূর্ণ করতে বা সঠিকভাবে কাজ করার উপযোগী করে উঠাতে ভূমিকা রয়েছে অনেক হার্ডওয়্যারের। <b>রাউটার</b>, <b>হাব</b>, এবং <b>সুইচ</b> হলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং ডিভাইজ। এরা প্রত্যেকেই প্রায় একই কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে—কিন্তু এদের প্রত্যেকেরই আলাদা এবং বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, এদের একে অপরের মধ্যে পার্থক্য গুলো কি? এদের বিশেষ গুরুত্ব গুলো কি? এবং ঠিক কি কারণে এরা প্রত্যেকেই নিজের অবস্থানে টিকে রয়েছে? যে ডিভাইজ গুলো ছাড়া নেটওয়ার্কিং কল্পনা করা মুশকিল, সে ডিভাইজ গুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। তো চলুন বন্ধুরা, সবকিছু ভাঙ্গিয়ে দেখে নেওয়া যাক।</p> <p dir="ltr"><b>১. হাব</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/ethernet-490027_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">অনেক গুলো কম্পিউটারকে একসাথে সংযুক্ত করার জন্য (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) হাব ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাবের যেকোনো পোর্টে যদি কোন তথ্য প্রেরন করা হয় তবে সেই তথ্যকে হাব তার সকল পোর্টে অর্থাৎ সেখানে কানেক্ট থাকা প্রত্যেকটি কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়। হাবে কানেক্ট থাকা একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটার থেকে কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারে তথ্য পাঠানো সম্ভব হয় না, কেনোনা হাব তার সাথে সংযুক্ত থাকা কম্পিউটার গুলো সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না। কোন পোর্ট থেকে তথ্য পেলে তা অনেকটা কানার মতো এর বাকি সকল পোর্ট গুলোর কাছে পৌছিয়ে দেয়।</p> <p dir="ltr">হাব একদম সাধারন ইলেকট্রিক মাল্টিপ্লাগের মতো কাজ করে—যেখানে মাল্টিপ্লাগে এক প্রান্ত থেকে বিদ্যুৎ প্লাগে প্রেরন করা হয় এবং সকল পোর্ট গুলো এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কোন প্লাগের সাথে কোন যন্ত্রপাতি লাগানো আছে তা মাল্টিপ্লাগটি কখনোই বুঝতে পারে না। মনে করুন, একটি হাবের সাথে পাঁচটি কম্পিউটার সংযুক্ত করা আছে, এখন যদি একটি কম্পিউটার থেকে ডাটা পাঠানো হয় তবে তা নির্দিষ্ট কোন কম্পিউটারে না গিয়ে একসাথে বাকি চারটি কম্পিউটার গ্রহন করবে।</p> <p dir="ltr"><b>হাবের প্রয়োজনীয়তা</b></p> <p dir="ltr">বাড়িতে ব্যাবহারের জন্য হাবের সত্যিই তেমন কোন প্রয়োজনীয়তা নেই—কেনোনা আপনার পাঠানো যেকোনো তথ্য সকল ডিভাইজে কপি হয়ে যাবে। তাছাড়া হাব ব্যবহার করা মানে নিরাপত্তাকে সমুদ্রের ঐপাড়ে রেখে আসা, এতে সংযুক্ত থাকা যেকোনো ডিভাইজ থেকে সকল ট্র্যাফিকের উপর অনেক সহজেই নজরদারি রাখা সম্ভব। তাছাড়া হাব ব্যান্ডউইথ শেষ করার জম।</p> <p dir="ltr">তবে এর যে কোন প্রয়োজনীয়তাই নেই, এমনটি কিন্তু নয়। মনেকরুন, আপনার অফিসের বসের জন্য কোন ডকুমেন্টের প্রিন্ট কপি প্রয়োজন, কিন্তু শুধু আপনার কপি হলেই হবে না, আপনার অফিসের প্রত্যেকজন কর্মচারীর করা প্রিন্ট কপি প্রয়োজন এবং সকল কপি প্রিন্ট করার জন্য একটিই প্রিন্টার রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি হাব ব্যবহার করে ব্যাপারটিকে সহজে নিয়ন্ত্রন করে নিতে পারবেন।</p> <p dir="ltr">হাবের নিরাপত্তা নেই বল্লেই চলে, কিন্তু এটিকে আপনি ফিচার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আপনার অফিসের সকল কর্মচারীর উপর এবং সেই নেটওয়ার্কের সকল ট্র্যাফিকের উপর নজর রাখতে পারবেন। আপনার কোন কর্মচারী যদি কাজের চেয়ে বেশি ফেসবুক বা ইউটিউবে সময় ব্যয় করে তবে তাকে ধরার জন্য হাব আপনাকে সাহায্য করতে পারে।</p> <p dir="ltr"><b>২. সুইচ</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/ethernet-1157280_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">সুইচও অনেক গুলো কম্পিউটারকে একত্রে সংযুক্ত করতে বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম ডাটা ট্র্যান্সফার করার পরে এটি একটি “<b>সুইচ টেবিল</b>” তৈরি করে—যা এর সাথে সংযুক্ত থাকা প্রত্যেকটি ডিভাইজের ম্যাক অ্যাড্রেস মনে রাখে এবং মনে রাখে ঠিক কোন ডিভাইজ কোন পোর্টের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।</p> <p dir="ltr">হাবের অসদৃশ সুইচ প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, প্রথম ডাটা আদান প্রদান করার পরে এটি প্রত্যেকটি পোর্টের ম্যাক অ্যাড্রেস মনে রাখে, ফলে কোন কম্পিউটার থেকে কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারে বা নির্দিষ্ট পোর্টে ডাটা পাঠানো সম্ভব।</p> <p dir="ltr"><b>সুইচের প্রয়োজনীয়তা</b></p> <p dir="ltr">কোন সাধারন এবং ব্যক্তিগত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য হাব ব্যবহার করলেই চলে—কেনোনা এটি সুইচের চেয়ে অনেক বেশি সস্তা। কিন্তু সুইচ ব্যবহার করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং দক্ষ, তাছাড়া এটি অনেক কম ব্যান্ডউইথ ক্ষয় করে। তাছাড়াও আপনি একটি কম্পিউটার থেকে কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারে ডাটা প্রেরন করতে পারবেন।</p> <p dir="ltr">মনেকরুন আপনি “ক” কম্পিউটার থেকে “খ” কম্পিউটারে কোন ডাটা প্রেরন করতে চাইছেন। এবার সুইচ পর্যবেক্ষণ করে দেখল যে, “ক” কম্পিউটারটি ১ নং পোর্টে এবং “খ” কম্পিউটারটি ৪ নং পোর্টে সংযুক্ত রয়েছে। এই অবস্থায় সুইচ ১ নং পোর্ট থেকে সরাসরি ৪ নং পোর্টে ডাটা সেন্ড করে দেবে, বাকি পোর্ট গুলো সেই ডাটা প্রাপ্তি থেকে বিরত থাকবে, ফলে হাবের চেয়ে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ বাচান সম্ভব হবে।</p> <p dir="ltr">আপনি যখন সুইচ কেনার জন্য বাজারে যাবেন তখন সাধারনত দুই প্রকারের সুইচ দেখতে পাবেন। একটি হলো ম্যানেজড সুইচ এবং আরেকটি আনম্যানেজড সুইচ। আনম্যানেজড সুইচে জাস্ট কম্পিউটার গুলোকে প্লাগ করুন এবং সরসরি কাজ শুরু করে দিন। কিন্তু ম্যানেজড সুইচে নির্দিষ্ট পোর্টের জন্য ব্যান্ডউইথ অগ্রাধিকার রাখার সুবিধা দিয়ে থাকবে। যেমন স্কাইপ কল করার জন্য বেশি  ব্যান্ডউইথ পোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।</p> <p dir="ltr"><b>৩. রাউটার</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/10/router-157597_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">একটি নেটওয়ার্ক থেকে আরেকটি নেটওয়ার্কে ডাটা গুলোকে প্যাকেট আকারে সেন্ড করায় হলো রাউটারের আসল কাজ। প্রত্যেকটি ডাটা প্যাকেটে সেই ডাটাটির পৌঁছানোর গন্তব্য ঠিকানা জুড়ে দেওয়া থাকে। প্রেরনকৃত ডাটা গন্তব্যে না পৌঁছানো অব্দি এক রাউটার থেকে আরেক রাউটারে ভ্রমন করে। আর এভাবেই ইন্টারনেট থেকে ডাটা আপনার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে চলে আসে। অর্থাৎ আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করেন, তখন আপনার রাউটার সেই সার্চ অনুরোধটি সরাসরি গুগল সার্ভারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তারপরে সার্ভার থেকে প্রাপ্ত ডাটা গুলো আপনার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে থাকা নির্দিষ্ট কম্পিউটারে সরবরাহ করে দেয়।</p> <p dir="ltr">রাউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু লোকাল <a href="https://bn.techubs.net/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%BF/">আইপি অ্যাড্রেস</a> তৈরি করে এর সাথে সংযুক্ত থাকা প্রত্যেকটি ডিভাইজকে একটি করে প্রদান করে। যে ডিভাইজ থেকেই ওয়েব রিকুয়েস্ট পাঠানো হোক না কেন, আপনার রাউটার সকল প্রসেস গুলোকে অনেক দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রন করে এবং প্রত্যেকটি ডাটা প্যাকেট আসল গন্তব্য ঠিকানায় পৌছিয়ে দেয়।</p> <p dir="ltr"><b>রাউটারের প্রয়োজনীয়তা</b></p> <p dir="ltr">দুটি আলাদা নেটওয়ার্কের মধ্যে প্যাকেট আদান প্রদান করায় রাউটারের আসল কাজ হলেও আজকের মডার্ন রাউটার গুলো এর চেয়ে আরো বেশি কিছু করে থাকে।</p> <p dir="ltr">এতে ৪-৮ টি সুইচ পোর্ট থাকে, যা লোকাল শেয়ারিং যেমন প্রিন্টার ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।আপনার লোকাল এরিয়াতে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্র্যান্সলেসন (NAT) পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রত্যেকটি ডিভাইজকে একটি ইউনিক আইপি প্রদান করে। এই আইপি গুলো ইন্টারনেট বা আপনার আইএসপি এর বাহিরে।ডাইনামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রোটোকল (DHCP) ব্যবহার করে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে থাকা প্রত্যেকটি ডিভাইজকে একটি করে আইপিতে সংযুক্ত করে।রাউটারে আপনার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কটিকে রক্ষা করার জন্য ডেডিকেটেড <a href="https://bn.techubs.net/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%BF/">ফায়ারওয়াল</a> থাকে।এতে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) পোর্ট থাকে যাতে আপনার আইএসপির সাথে সংযুক্ত হয়ে আপনার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কটিকে (LAN) <a href="https://bn.techubs.net/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/">ইন্টারনেট</a> সংযোগ প্রদান করে।তাছাড়া <a href="https://bn.techubs.net/%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%87-wifi-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4/">ওয়্যারলেস</a> রাউটার আপনার ডিভাইজ গুলোকে তার ছাড়ায় ওয়াইফাই এর মাধ্যমে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে।</p>

রাউটার, হাব, এবং সুইচ | যেগুলো ছাড়া নেটওয়ার্কিং অচল

ইন্টারনেট বা যেকোনো সাধারন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম সম্পূর্ণ করতে বা সঠিকভাবে কাজ করার উপযোগী করে উঠাতে ভূমিকা রয়েছে অনেক হার্ডওয়্যারের। ...

আরও পড়ুন »

লিনাক্স কি? | কেন লিনাক্স ব্যবহার করবেন? | বিস্তারিত

<p dir="ltr">লিনাক্স রয়েছে সর্বত্র। আপনার মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, সার্ভার এমনকি সুপার কম্পিউটারেও রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই অবস্থায় আপনার অবশ্যই এর সম্পর্কে জানার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এবং সেই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবং বহুত অনুরোধের জন্য আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি লিনাক্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবার। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সব        </p><p dir="ltr"><b>কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস কি?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/code-1486361_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">লিনাক্স নিয়ে বিস্তারিত জানার আগে আপনার অবশ্যই কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কেনোনা অনেকে এই বিষয়টি বুঝতেই করে ফেলেন বিশেষ ভুল। আপনি বা আমি কিন্তু কখনোই ভেবে দেখিনা যে কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে। আমরা শুধু মাত্র কম্পিউটারকে টাস্ক দিয়ে যাই এবং বদলে কম্পিউটার আমাদের টাস্ক সম্পূর্ণ করে দিলেই ব্যাস। সে কীভাবে তা সম্পূর্ণ করলো বা কি কি প্রসেস চালালো তা নিয়ে আমরা কখনোই মাথা ঘামাতে চাই না।</p> <p dir="ltr">কিন্তু আপনার কম্যান্ড দেওয়া প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য কম্পিউটারকে বহুত প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হয়। যে প্রোগ্রাম গুলো আপনার কম্পিউটারের সকল কাজ যেমন মিউজিক প্লে, ভিডিও প্লে, ওয়ার্ড টাইপ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল সেন্ড ইত্যাদি করে থাকে তাদের মূলত বলা হয় অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপস। কিন্তু এই সকল অ্যাপ্লিকেশন গুলো জার উপর দিয়ে চলে বা রান হয় সেটিই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস।</p> <p dir="ltr">অপারেটিং সিস্টেমকে কম্পিউটারের সকল বেসিক কাজ গুলো করতে হয়। যেমন অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে কখন আপনার স্ক্রীনে কি প্রদর্শন করা হবে, আপনি কী-বোর্ডে কোন কী কখন চাপলেন, প্রসেসর গরম হয়ে গেলে ফ্যান চালু করতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম সকল তথ্য হার্ডড্রাইভে সংরক্ষন করে এবং প্রয়োজনে ডাটা আবার অ্যাক্সেস করে। কিন্তু আপনার ইন্সটল করা অ্যাপ্লিকেশন গুলো কোন চিন্তায় করে না এসব বিষয় নিয়ে। অ্যাপ্লিকেশন শুধু মাত্র আপনার দেওয়া কম্যান্ড গুলো অনুসরন করে কাজ করে। এবং প্রয়োজনে অপারেটিং সিস্টেমের উপর কাজ চাপিয়ে দিয়ে বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।</p> <p dir="ltr">চলুন অপারেটিং সিস্টেম কি তা বুঝাতে একটি সুন্দর উদাহরণ দেওয়া যাক। আপনার কম্পিউটারকে একটি অফিস হিসেবে কল্পনা করুন। যেখানে একজন টাইপার রয়েছেন যিনি শুধু টাইপ করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সে তার কাজ খুব ভালোভাবে করছে। সে কিন্তু কখনো এটা চিন্তা করবে না যে অফিসের ক্যান্টিন কীভাবে চলবে বা অফিস কীভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা যাবে বা অফিসের জানালা গুলো মুছতে হবে। অফিসটির ক্যান্টিন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখতে মনে করুন আরেকটি কোম্পানি কাজ করে। তার নাম মনে করুন সুযোগ সুবিধা ম্যানেজমেন্ট। তো আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই সুযোগ সুবিধা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। অপারেটিং সিস্টেম সকল খুঁটিনাটি কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে যাতে অ্যাপ্লিকেশন তার নির্দিষ্ট কাজ আরো বেশি মনোযোগের সাথে করতে পারে। আশা করছি এই উদাহরণ থেকে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা হয়ে গেছে।</p> <p dir="ltr"><b>অপারেটিং সিস্টেমের কেন প্রয়োজন পড়লো?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/office-1356793_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভবনের আগের কম্পিউটার গুলোতে কোন অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। তৎকালীন কম্পিউটার গুলোকে মাইক্রো কম্পিউটারস বা মাইক্রোস বলা হতো। তখনকার মেশিন গুলো প্রত্যেকটি চলতো তাদের নিজের আলাদা আলদা মৌলিক পদ্ধতিতে। কারো প্রোগ্রামের সাথে কারো প্রোগ্রামের কোন মিল ছিল না। কোন গেম ডেভেলপার যদি একটি কম্পিউটারের জন্য গেম তৈরি করতো তবে অন্য কম্পিউটারের কাছে সেটি একদম বেকার ছিল। যেহেতু এক কম্পিউটারের ভাষা আরেক কম্পিউটার থেকে আলদা ছিল তাই এদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল একেবারে অসম্ভব।</p> <p dir="ltr">কিন্তু সে সময়ে সিপি/এম নামক একটি অপারেটিং সিস্টেম এই অসুবিধা দূর করেছিলো। যখন মাইক্রো কম্পিউটারস গুলো সিপি/এম ব্যবহার করতে শুরু করলো তখন তারা একই প্রোগ্রাম সকল কম্পিউটারে রান করাতে সক্ষম হলো। ডেভেলপার রা তখন আলদা আলদা কম্পিউটারের জন্য প্রোগ্রাম না লিখে সিপি/এম এর জন্য প্রোগ্রাম লিখতে আরম্ভ করলো। এবং কম্পিউটিং প্রযুক্তিতে নতুনত্ব আসলো।</p> <p dir="ltr">কিন্তু ১৯৮০ সালের দিকে আইবিএম নামক এক প্রতিষ্ঠান যখন তার প্রচণ্ড জনপ্রিয় পার্সোনাল কম্পিউটার মেসিনের জন্য সিপি/এম এর দাবি কিনতে যায় তখন তারা তা কিনতে অক্ষম হয়। ফলে তখন এক প্রচণ্ড মেধাবী যুবক “বিল গেটস” বিকল্প হিসেবে তার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম লিখতে শুরু করেন। এবং জন্ম নেয় ডস (DOS) অপারেটিং সিস্টেমের। পরে এটির নাম উইন্ডোজ হয়ে যায়। আর এই উইন্ডোজ বিলকে পৃথিবীর সবচাইতে ধনী ব্যাক্তি করে তোলে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সবচাইতে আসল কথা হলো এটির মাধ্যমে একই ভাষার অ্যাপ্লিকেশন আলাদা আলদা মেশিনে চালানো যায়। ফলে যেকোনো কম্পিউটার একে পরের সাথে খুব সহজেই সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়। তো বন্ধুরা এই হলো মূলত প্রধান কারন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয়তা পাবার এবং অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজনীয়তার।</p> <p dir="ltr"><b>লিনাক্স কি?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/linux-154544_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">এতক্ষণ অনেক হয়েছে ইতিহাস ঘেঁটে দেখা এবার আজকের দিনে ফিরে এসে আলোচনা করা যাক লিনাক্স নিয়ে। অনেকে মনে করেন লিনাক্স একটি অপারেটিং সিস্টেম। কিন্তু আসলে লিনাক্স কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, বরং এটি হলো একটি কার্নেল। কার্নেল কি এ বিষয়ে <a href="https://bn.techubs.net/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%9f-%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%b0%e0%a6%ae/">বুট লোডার, রম, কার্নেল</a> নিয়ে লেখা পোস্টে হালকা ধারণা দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পোস্ট লিখার সময় মনে হচ্ছে কার্নেল নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট করা দরকার। যাই হোক, কার্নেল মূলত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে।</p> <p dir="ltr">ডেভেলপাররা লিনাক্স কার্নেলের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। তাই আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে লিনাক্স রান করাতে চান তবে এই কার্নেলের উপর লেখা অ্যাপ্লিকেশন বা প্যাকেজ আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। আর লিনাক্সের এই প্যাকেজ গুলোকে বলা হয়ে থাকে ডিস্ট্রিবিউশন বা ডিস্ট্রো। লিনাক্স কার্নেলের উপর বহুত ডিস্ট্রো রয়েছে। এবং সেগুলো বিভিন্ন কাজের জন্য প্রস্তুতকৃত। এই কার্নেল আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করার উপযোগী করে গড়ে তোলে। লিনাক্স ডিস্ট্রো প্রত্যেকটি কম্পিউটিং ক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, টুলস, এবং ডেক্সটপ পরিবেশ সরবরাহ করে থাকে। এবং এসকল কাজ লিনাক্স কার্নেলের সাথে একত্রে যুক্ত থাকে ফলে এটি একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।</p> <p dir="ltr">এখন কেউ যদি বলে যে সে তার কম্পিউটারে লিনাক্স ব্যবহার করছে, তাহলে এর মানে হলো সে লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করছে এবং সেই কার্নেলের উপর লেখা অ্যাপ্লিকেশন পিসিতে রান করাচ্ছে। কি পরিষ্কার হলো বিষয়টি?</p> <p dir="ltr"><b>কেন লিনাক্স ব্যবহার করবেন?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/business-437020_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">লিনাক্স কি তার সম্পর্কে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন। এবার চলুন আলোচনা করি কেন এটি আমরা ব্যবহার করবো তা নিয়ে। দেখুন আজকের দিনে সবচাইতে জনপ্রিয় কম্পিউটিং অপারেটিং সিস্টেম হলো উইন্ডোজ। আর হাঁ, উইন্ডোজ অবশ্যই তার নিজের ক্ষেত্রে থেকে অনেক ভালো আকজ করছে। কিন্তু উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম গুলো ইউজার এবং ডেভেলপারদের কাছে যা ইচ্ছা তা করার অনুমতি প্রদান করে না। আপনি উইন্ডোজ মেশিনের অ্যাডমিন হয়েও অনেক ফাইল মডিফাই করতে পারবেন না। আপনি যদি একজন গেমার হোন বা সাধারন কম্পিউটিং করেন তবে উইন্ডোজ আপনার কাছে উত্তম একটি অপারেটিং সিস্টেম। কিন্তু আপনি যদি ডেভেলপার হোন তবে উইন্ডোজে আপনি সর্বাধিক স্বাধীনতা পাওয়া থেকে বার্থ হবেন। কারন এটি একটি ক্লোজড অপারেটিং সিস্টেম।</p> <p dir="ltr">কিন্তু অপর দিকে লিনাক্স সম্পূর্ণ ফ্রী একটি কার্নেল। যেখানে বহুত ডিস্ট্রো রয়েছে এই কার্নেলের সাথে কাজ করার জন্য। এবং এর সাথে আপনি যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন। প্রায় সকল কম্পিউটিং পরিবেশের জন্যই আলদা ডিস্ট্রো রয়েছে। যেমন ডেক্সটপ কম্পিউটিং এর জন্য উবুন্তু বা মিন্ট রয়েছে, মোবাইলের জন্য রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড এমনকি লিনাক্স ভার্সন সুপার কম্পিউটারেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।</p> <p dir="ltr">লিনাক্স সর্বদা ফোকাস করে থাকে নিরাপত্তা এবং শক্তিশালী হওয়ার উপর। কিন্তু অপরদিকে উইন্ডোজ সর্বদা ফোকাস করে ব্যাবহারের সুবিধার উপর। এই জন্য অধিকাংশ সার্ভার এবং হাই টেক নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় সর্বদা লিনাক্সকে কাজে নেওয়া হয় এবং এটি জটিল কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য মারাত্মকভাবে জনপ্রিয়। তাই আমি মনে করি লিনাক্স ভার্সন কম্পিউটিং এর জন্য উইন্ডোজের সর্বউত্তম বিকল্প। তাছাড়া লিনাক্স উইন্ডোজের তুলনায় অনেক হালকা ওজনের হয়ে থাকে। যার জন্য এটি তাদের জন্য সর্বউত্তম যারা তাদের পার্সোনাল মেশিনে অনেক ফাস্ট কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা পেতে চায় এমনকি লো কনফিগার মেশিনেও।</p> <p dir="ltr">গত কয়েক বছরে লিনাক্স ডেস্কটপ ডিস্ট্রো অনেক পরিবর্তিত হয়ে সহজ ইউজার ইন্টারফেসে আনা হয়েছে। ফলে আপনি যদি উইন্ডোজ কিংবা ম্যাক ব্যাবহারেও অভ্যস্ত হোন তবুও লিনাক্স আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না। তাই এটি একটি বড় কারন হতে পারে আপনার হোম পিসিকে লিনাক্সে মাইগ্রেড করার জন্য।<br></p> <p dir="ltr"><b>লিনাক্সের সুবিধা</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/smile-1275668_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">চলুন এবার কথা বলি লিনাক্সের কিছু বিশেষ সুবিধা গুলো নিয়ে। লিনাক্স ব্যাবহারে সবচাইতে বড় সুবিধা হলো এটি ব্যবহার করা হাইলি নিরাপদ। মানে এটি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনাকে ভাইরাস, ট্রোজান ইত্যাদি সম্পর্কে ভুলে যেতে হবে। তাছাড়া লিনাক্স ডিস্ট্রো গুলো সম্পূর্ণ ফ্রী ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার পিসি একটি হোক আর ১০টি, লিনাক্স ডিস্ট্রোর চার্জ সর্বদা ০ ডলার। যেখানে উইন্ডোজ ব্যবহার করতে আপনাকে কয়েকশো ডলার খরচ করতে হবে।</p> <p dir="ltr">বেশিরভাগ সময় লিনাক্সের ডিস্ট্রোর সাথে সকল প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন প্রি-ইন্সটল থাকে। এবং আপনার প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন প্যাকেজ আপনি ফ্রী ইন্সটলও করতে পারবেন। উইন্ডোজের তুলনায় দেখতে গেলে এটি একটি অনেক বড় ডীল। তাছাড়া লিনাক্স সম্পূর্ণ ফ্রী লাইসেন্সের হওয়ায় আপনি এর সাথে যেমন ইচ্ছা তেমন করে সাজাতে পারেন। যদিও কিছু বাদ্ধকতা বিদ্ধমান রয়েছে।</p> <p dir="ltr">লিনাক্স অনেক হালকা ওজনের হওয়ার জন্য এটি যেকোনো ধরনের মেশিনে চলতে পারে। ২০০৪ সালে মাইক্রোসফট তাদের এক্সপির উপর থেকে সমর্থন উঠিয়ে নেবার পর অনেকে তাদের পুরাতন মেশিনকে ভাইরাস ফ্রী রাখতে লিনাক্সে চলে গেছে। আশ্চর্যজনক ভাবে পুরাতন মেশিনে লিনাক্স ব্যাবহারে অনেক ফাস্ট অভিজ্ঞতা পাওয়া গেছে।</p> <p dir="ltr">এছাড়া ওয়াইন ব্যবহার করে আপনি লিনাক্সে উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন। তাই এটিও একটি বড় সুবিধা। আবার গেমস পাগলদের জন্যও রয়েছে সুখবর। নতুন লিনাক্স কার্নেল নির্ভর স্টিম অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে প্রায় ১ হাজারের উপর গেমস। এবং এই গেম গুলো লিনাক্সে খুব ভালো রান করে। লিনাক্স ব্যাবহারে পুরাতন মেশিনেও লেটেস্ট ইন্টারনেট ব্রাউজার যেমন ফায়ারফক্স বা ক্রমিয়াম, লেটেস্ট অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহারের সুবিধা পাওয়া যায়। এমনকি আজ থেকে ১০-১৫ বছরের আগের মেশিনেও রকেটের গতিতে চলে লিনাক্স।</p> <p dir="ltr">লিনাক্সে রয়েছে লাইভ সিডি বা ডিভিডি বা ইউএসবি সুবিধা। আপনি আপনার কম্পিউটারে লিনাক্স রান করাতে পারবেন ইন্সটল না করে। এতে আপনার বর্তমান উইন্ডোজের উপর ইফেক্ট পড়বে না। জাস্ট লিনাক্স ইউএসবি আপনার মেশিনে প্লাগ করুন আর প্লে করুন। লিনাক্সে রয়েছে বহুত ডিস্ট্রো পছন্দ করার সুবিধা। আপনার একটি পছন্দ না হলে জাস্ট আরেকটি ব্যবহার করুন, আরেকটি না হলে আরেকটি। কিন্তু উইন্ডোজে এই সুবিধা আপনি কখনোয় পাবেন না।</p> <p dir="ltr">উইন্ডোজে কোন সমস্যা হলে উইন্ডোজ রি-ইন্সটল করার প্রয়োজন পরে। কিন্তু লিনাক্সের যেকোনো সমস্যা এমনিতেই সমাধান করা সম্ভব, এতে একদমই আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম রি-ইন্সটল করতে হবে না। তাছাড়া লিনাক্সে রয়েছে মাল্টি ডেক্সটপ ব্যাবহারের সুবিধা। যা উইন্ডোজে উইন্ডোজ ১০ এ যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন টাস্ক ওপেন রেখে ডেস্কটপে জঙ্গল পাকিয়ে ফেলত। একাধিক ডেক্সটপ মানে স্বাধীন ও পরিষ্কারভাবে কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা নেওয়া।<br></p> <p dir="ltr"><b>লিনাক্সের কিছু অসুবিধা</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/despair-513529_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">এর হাজার হাজার সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধাও রয়েছে যার ফলে ব্যবহারকারীরা কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। লিনাক্সে উইন্ডোজের মতো এতো ড্রাইভার থাকে না। ড্রাইভার হলো এক প্রকারের ছোট প্রোগ্রাম যা আপনার কম্পিউটারের সাথে যেকোনো এক্সটারনাল ডিভাইজ যেমন প্রিন্টার, ইউএসবি মোডেম ইত্যাদি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করাতে সাহায্য করে। এবং কম্পিউটারকে বুঝতে দেয় যে কোনটি কোন ডিভাইজ। হতে পারে আপনার বাসার প্রিন্টারটি লিনাক্সে কাজ করছে না যেটি উইন্ডোজে আরামে চলতে পারে। তবে এই সমস্যারও হাল রয়েছে। যদি কোন ডেভেলপার তার ফ্রী সময়ে ঐ ডিভাইজটির জন্য কোন ড্রাইভার তৈরি করেন যা লিনাক্সে চলবে তবে আপনি ডিভাইজটি রান করাতে পারবেন।</p> <p dir="ltr">যদিও এখনো লিনাক্স কোন প্রকারের তৃতীয় পক্ষ ড্রাইভার ছাড়ায় ডিফল্ট উইন্ডোজের তুলনায় অনেক বেশি ডিভাইজ সমর্থন করার ক্ষমতা রাখে। তারপরেও আজকাল অনেক ডিভাইজ প্রস্তুতকারী কোম্পানিরা উইন্ডোজের পাশাপাশি লিনাক্সের জন্যও ড্রাইভার প্রস্তুত করে, এবং এটি অবশ্যই একটি ভালো কথা।</p> <p dir="ltr"><b>লিনাক্স ব্যবহার কীভাবে শুরু করতে পারি?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/07/womens-877131_1280.jpg"></p> <p dir="ltr">আপনি যদি নতুন লিনাক্স ব্যবহারকারী হতে চান তবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কীভাবে শুরু করবেন। দেখুন আপনি যদি নতুন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবো সরাসরি লিনাক্স ইন্সটল না করে লাইভ সিডি দিতে লিনাক্স বুট করুন। আপনার পছন্দের ডিস্ট্রোটির আইএসও ডাউনলোড করুন এবং ফ্ল্যাশ ভাবে ব্যবহার করা শুরু করুন। ডেস্কটপের জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় ডিস্ট্রো হলো লিনাক্স মিন্ট এবং উবুন্তু। তো এর যেকোনো একটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।</p> <p dir="ltr"><b>শেষ কথা</b></p> <p dir="ltr">বন্ধুরা আপনি যদি এখনো লিনাক্স ব্যবহার করে না থাকেন তবে আমি সাজেস্ট করবো ব্যবহার করার। হতে পারে সেখান থেকে আপনি হয়তো অনেক নতুন অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। আশা করছি লিনাক্স নিয়ে আজকের পোস্ট থেকে আপনি অনেক কিছু জেনেছেন এবং হয়তো ইতিমধ্যে অনেকটা আগ্রহীও হয়ে পড়েছেন। যাই হোক, আজ একদম শেষের পথে। যাবার আগে অনুরোধ অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন এবং আপনার যেকোনো প্রকারের অনুরোধ বা মতামত জানতে অবশ্যই আমাকে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ <img src="https://s.w.org/images/core/emoji/2.2.1/svg/1f642.svg"></p>

লিনাক্স কি? | কেন লিনাক্স ব্যবহার করবেন? | বিস্তারিত

লিনাক্স রয়েছে সর্বত্র। আপনার মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, সার্ভার এমনকি সুপার কম্পিউটারেও রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই অবস...

আরও পড়ুন »

এসএসডি (SSD) বনাম এইচডিডি (HDD), আপনি কোনটি কিনবেন?

<p dir="ltr">এসএসডি (SSD) সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় শুনেছেন যার পূর্ণ নাম হলো <a href="https://en.wikipedia.org/wiki/Solid-state_drive">solid state drives</a>। আপনি হয়তো কম্পিউটার কিনতে গিয়ে এটি দেখছেন কিংবা কোন ম্যাগাজিনে জেনেছেন এটির সম্পর্কে। কিন্তু আজ আমি আপনাদের বলবো এই এসএসডি (SSD) এবং এইচডিডি (HDD) এর আসল পার্থক্য। অর্থাৎ আজকের যুদ্ধ সলিড স্টেট ড্রাইভ এর সাথে হার্ডড্রাইভ এর। আপনি যদি চিন্তিত হোন যে কোনটি কিনবেন, তবে আমি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবো। এবং চলুন সাথে দেখে নেওয়া যাক এই দুইটি ড্রাইভ এর বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।<br></p> <p dir="ltr"><b>এসএসডি বনাম এইচডিডি, এরা কীভাবে কাজ করে?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/03/computer-1015304_1280-1024x1024.jpg"></p> <p dir="ltr">দেখুন হার্ডড্রাইভ একটি খ্যাতিমান স্টোরেজ ডিভাইজ। যেটি আমরা পেছনের কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ব্যবহার করে আসছি। এবং এটি একটি মেকানিক্যাল ডিভাইজ। অর্থাৎ এর ভেতর মুভিং পার্ট থাকে। আপনি হার্ডড্রাইভ এর বিবরণীতে অবশ্যই দেখে থাকবেন যে, ৫,৪০০ আরপিএম অথবা ৭,২০০ আরপিএম ইত্যাদি লেখা থাকে। সাধারন ভাবে এর ভেতর একটি ঘুরপাক করা মাথা থাকে যেটি অনেক দ্রুত ঘুরপাক করতে থাকে, যতটা আরপিএম আপনার হার্ডড্রাইভটির বিবরণীতে উল্লেখ্য থাকে সে অনুসারে। এবং এই ঘুরপাক করার সময় সেখানে চাকতি থাকে এবং এর মাধ্যমে এটি ডাটা অ্যাক্সেস করে থাকে।</p> <p dir="ltr">দেখুন হার্ডড্রাইভ এর মতো সলিড স্টেট ড্রাইভ এ কোনো সরানোরা করার মতো অংশ থাকেনা। সলিড স্টেট ড্রাইভ ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করে ডাটা সংরক্ষন করে। সলিড স্টেট ড্রাইভ এর ডাটা সংরক্ষন করার পদ্ধতি হার্ডড্রাইভ থেকে সম্পূর্ণই আলাদা। হার্ডড্রাইভ এ দুইটি ধাতব চাকতি থাকে যেখানে সকল ডাটা সংরক্ষিত হয়। এই চাকতি দুইটি চুম্বকিত হয় এবং যখন কোন ডাটা রিড করা হয় তখন এটি সামনে পেছনে সরানোরা করতে থাকে। কিন্তু সলিড স্টেট ড্রাইভ এ কোনো ধাতব চাকতি না থাকায় এটি অক্ষম হওয়ার সুযোগও থাকে না। এবং তাত্ত্বিকভাবে এসএসডি কখনোয় ফেল হয় না। যেখানে হার্ডড্রাইভ প্রায়শই ফেল হয়ে যায় এবং সকল ডাটা হারিয়ে ফেলে।</p> <p dir="ltr">এমন কি একটি হার্ডড্রাইভকে কোনো প্রকার স্পর্শ না করে শুধু কয়েক বছর একটি টেবিলে ফেলে রাখলেও এই ফেল হয়ে যেতে পারে। কারন এটি প্রত্যেকবার ব্যাবহারের সময় বুট আপ হতে হয়। এবং এটির ভেতরকার যন্ত্রাংশ নড়াচড়া করতে থাকে। কিন্তু এই সমস্যা কখনোয় সলিড স্টেট ড্রাইভ এর সাথে ঘটে না। সুতরাং সলিড স্টেট ড্রাইভ এর জন্য এটি একটি বিশেষ সুবিধা। অর্থাৎ নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে এসএসডি এর স্কোর ১০০%।</p> <p dir="ltr"><b>এসএসডি ও এইচডিডি এর কার্যক্ষমতা</b></p> <p dir="ltr">এখন এদের দুজনের কার্যক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা যাক। সাধারনভাবে কার্যক্ষমতার দিক থেকে সলিড স্টেট ড্রাইভ হার্ডড্রাইভ থেকে বেশি সুখ্যাত। এর প্রধান কারন হলো সলিড স্টেট ড্রাইভ ডাটা রিড করতে এর ভেতরের কোনো বাহুকে নড়াচড়া করাতে হয়না। সব ডাটা গুলো একত্রে অবস্থান করে একটি ফ্ল্যাশ মেমোরির ভেতর। যার ফলে আপনি যখন কোনো ডাটার জন্য অনুসন্ধান করেন তখন এটি খুব দ্রুত আপনার কাছে এনে হাজির করে দেয়। সস্তা সলিড স্টেট ড্রাইভ গুলো একটি ১০,০০০ আরপিএম হার্ডড্রাইভ এর সমান কার্যক্ষমতা দেখাতে পারে। কিন্তু দামী এবং উন্নত সলিড স্টেট ড্রাইভ গুলো যেকোনো হার্ডড্রাইভকে নিমিষেই হজম করে ফেলার মতো কার্যক্ষমতা দেখাতে সক্ষম।</p> <p dir="ltr">আমি মনে করি এবার এদের ধারণক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। ধারণক্ষমতা বা ক্যাপাসিটির দিক থেকে সলিড স্টেট ড্রাইভ হার্ডড্রাইভ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। আপনি মাত্র কয়েক হাজার টাকা খরচ করেই একটি টেরাবাইট হার্ডড্রাইভ কিনে ফেলতে পারেন। কিন্তু টেরাবাইট সলিড স্টেট ড্রাইভ কিনতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে। তাছাড়া বাজারে অনেক সহজেই ১০ টেরাবাইট বা ২০ টেরাবাইট হার্ডড্রাইভ কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাজারে ৪-৫ টেরাবাইট সলিড স্টেট ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর যদি কখনো বেরও হয় তো অনেক দামী হবে, যেটা সাধারন মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব হবে না।</p> <p dir="ltr"><b>আপনার কম্পিউটার এর জন্য আপনি কোনটি কিনবেন? এসএসডি? না এইচডিডি?</b></p> <p dir="ltr"><img src="https://bn.techubs.net/wp-content/uploads/2016/03/hard-drive-630169_1280-682x1024.jpg"></p> <p dir="ltr">দেখুন উপরিউক্ত আলোচনায় এদের দুজনের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আপনারা অবগত হলেন। কিন্তু যখন কেনার কথা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা আসে তখন আর কিছু বিষয় বিবেচনা করে দেখা উচিৎ। সলিড স্টেট ড্রাইভ অনেক ফাস্ট ডাটা অ্যাক্সেস করতে পারে এবং এটির ফেল হওয়ার সম্ভবনা একেবারে নাই বললেই চলে। কিন্তু এটি অনেক বেশি দামী এবং আপনার যদি বেশি ডাটা সংরক্ষন করার প্রয়োজন হয় তবে সেই অনুসারে বেশি ধারণক্ষমতার সলিড স্টেট ড্রাইভ এখনো বাজারে পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও অনেক দাম পরে যাবে।</p> <p dir="ltr">তাছাড়াও একটি বিষয় জানা দরকার যে, সলিড স্টেট ড্রাইভ এর ফ্ল্যাশ মেমোরির সেল গুলো একটি নির্দিষ্ট বার নতুন ডাটা রাইট করতে পারে। অর্থাৎ আপনি যতো বেশি বার ডাটা রাইট করবেন আপনার এসএসডি ততো বেশি ধিরগতির হয়ে পড়তে পারে। এখন আপনি যদি অনেক বেশি ডাটা রিড রাইট করতে চান বা যদি বেশি ডাটা সংরক্ষন করতে চান তবে এইচডিডি আপনার জন্য সর্ব উত্তম হবে। কেনোনা যেকোনো মাপের বড় এইচডিডি আপনি সহজেই অল্পদামে বাজারে পেয়ে যাবেন।</p> <p dir="ltr">যেহুতু সলিড স্টেট ড্রাইভ দামে অনেক বেশি এবং অনেক কম ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়। তাই এসএসডিকে শুধু অপারেটিং সিস্টেম ধারণ এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ধারণ করতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কম্পিউটার অনেক দ্রুত কাজ করবে এবং আপনার সফটওয়্যার গুলো তাড়াতাড়ি রান হবে। পরিশেষে আমার মতামত অনুসারে আপনার কম্পিউটার এ এসএসডি এবং এইচডিডি দুটোই ব্যবহার করা উচিৎ। এইচডিডি ব্যবহার করবেন আপনার সকল ডাটা গুলো সংরক্ষন করতে এবং এসএসডি ব্যবহার করবেন আপনার কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেমকে ফাস্ট রাখার জন্য।</p> <p dir="ltr"><b>শেষ কথা</b></p> <p dir="ltr">আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ার পরে এসএসডি ও এইচডিডি কেনার সময় আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন। কেনোনা এখন আপনি জানেন যে আপনার কি দরকার, এবং কোন স্টোরেজ ডিভাইজটি আপনার সেই প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারবে। আপনি ভালো কার্যক্ষমতা পেতে শুধু সলিড স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা আমার মতামত অনুসারে দুটিই একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এই বিষয়ে যদি আপনার আরো কোনো অতিরিক্ত প্রশ্ন থেকে থাকে তবে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর পোস্টটি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।</p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgP2gJshlXub1FIcSbS2uh14RrKoColoWrxu3a5VecpDmec26gPXMWBzu5cuZgOcNa792lyMQobktkw-qRnMI5c8ewTpuYIrVbqKv1QhpsJQiwWKhcwlYuFiH6s5ARz9bUsBLSTsR4OeJI/s1600/IMG_20170326_123414.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgP2gJshlXub1FIcSbS2uh14RrKoColoWrxu3a5VecpDmec26gPXMWBzu5cuZgOcNa792lyMQobktkw-qRnMI5c8ewTpuYIrVbqKv1QhpsJQiwWKhcwlYuFiH6s5ARz9bUsBLSTsR4OeJI/s640/IMG_20170326_123414.jpg"> </a> </div>

এসএসডি (SSD) বনাম এইচডিডি (HDD), আপনি কোনটি কিনবেন?

এসএসডি (SSD) সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় শুনেছেন যার পূর্ণ নাম হলো  solid state drives । আপনি হয়তো কম্পিউটার কিনতে গিয়ে এটি দেখছেন কিংবা কোন ম্যাগা...

আরও পড়ুন »

নতুন প্রজন্মের এন্ড্রয়েড ওয়্যার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে!

<p dir="ltr"><b>নতুন প্রজন্মের এন্ড্রয়েড ওয়্যার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে! </b><img src="https://s.w.org/images/core/emoji/2/svg/231a.svg"><b></b><img src="https://s.w.org/images/core/emoji/2/svg/1f4f1.svg"><b></b></p> <p dir="ltr"><img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/979-Android-Wear-Blog-Post-v-0-1-1024x536.png"><br></p> <p dir="ltr"><a href="http://bikroy.com/bn/ads?query=Smartwatch">স্মার্টওয়াচ</a> ফ্যানরা ২০১৬ সালের শুরু থেকে <a href="https://developer.android.com/wear/preview/index.html">এনড্রইড ওয়্যার ২.০</a>-এর আপডেটের জন্য অপেক্ষা করছেন। এবং দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ব্র্যান্ড নিউ <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones/lg?sort=date&by_paying_member=0&type=for_sale&filters%5B0%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B0%5D%5Bkey%5D=condition&filters%5B1%5D%5Btype%5D=money&filters%5B1%5D%5Bkey%5D=price&filters%5B2%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B2%5D%5Bkey%5D=brand&filters%5B2%5D%5Bvalues%5D%5B%5D=lg&filters%5B3%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B3%5D%5Bkey%5D=authenticity">এলজি</a> <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/watches">ওয়াচ</a> স্টাইল এবং ওয়াচ স্পোর্ট নামের একটি নতুন আপডেট এসেছে। শেষ জেনারেশনের এন্ড্রয়েড ওয়্যার স্মার্টঅয়াচগুলো আপডেট পাবে আসন্ন ফেব্রুয়ারীর কোন একটি সময়ে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে প্রথম জেনারেশনের এন্ড্রইড ওয়্যার ডিভাইসগুলো কোন আপডেট পাবে না।</p> <p dir="ltr">`<img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/sport-1024x574.png"><a href="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/sport.png"></a></p> <p dir="ltr">প্রথমেই নতুন হার্ডওয়্যার নিয়ে আলোচনা করা যাক। দুটো এলজি ওয়াচ স্পোর্ট এবং স্টাইলের একটি ঘূর্ণায়মান ক্রাওন রয়েছে যা দিয়ে ইউআই <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones/apple?sort=date&by_paying_member=0&type=for_sale&filters%5B0%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B0%5D%5Bkey%5D=condition&filters%5B1%5D%5Btype%5D=money&filters%5B1%5D%5Bkey%5D=price&filters%5B2%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B2%5D%5Bkey%5D=brand&filters%5B2%5D%5Bvalues%5D%5B%5D=apple&filters%5B3%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B3%5D%5Bkey%5D=authenticity">অ্যাপেল</a> ওয়াচে নেভিগেট করা যায়। এটি <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones/samsung?sort=date&by_paying_member=0&type=for_sale&filters%5B0%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B0%5D%5Bkey%5D=condition&filters%5B1%5D%5Btype%5D=money&filters%5B1%5D%5Bkey%5D=price&filters%5B2%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B2%5D%5Bkey%5D=brand&filters%5B2%5D%5Bvalues%5D%5B%5D=samsung&filters%5B3%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B3%5D%5Bkey%5D=authenticity">স্যামসাং</a> গিয়ার ওয়াচের ঘূর্ণায়মান বেজেলের মত এতটা স্বজ্ঞামূলক নয়। কিন্তু তারপরও বারবার স্ক্রীন সোয়াইপ করার চেয়ে এর ব্যবহার অনেক সুবিধাজনক। পুরনো <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/watches">ঘড়ি</a>গুলো এই ঘূর্ণায়মান ক্রাওনগুলো ছাড়া আগের মতই কাজ করবে তবে নতুন ঘড়িগুলোর ব্যবহার হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় যদি ব্যবহারকারীরা ক্রাওনের সঠিক ব্যবহার করতে পারেন।</p> <p dir="ltr"><img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/style-1024x549.png"><a href="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/style.png"></a></p> <p dir="ltr">আপডেটটি নিয়ে আসছে বেশ কিছু নতুন পারফরম্যান্স ফিচার এবং উন্নততর ইউআই। সহজ নেভিগেশন, সুইচ ওয়াচ ফেসেস অথবা অ্যাপ সিলেকশনের সুবিধা সম্বলিত নতুন ইউআই হবে অনেক সহজ। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হল স্মার্টফোনের সাথে পেয়ার করা ছাড়াই স্মার্টওয়াচ থেকে সরাসরি অ্যাপ ডাউনলোড করার সুবিধা। স্মার্টওয়াচের ছোট্ট স্ক্রীনে অ্যাপ খোঁজা অনেক ক্লান্তিকর তবে সৌভাগ্যের বিষয় এটাই যে আপনি সরাসরি আপনার স্মার্টওয়াচেই <a href="https://play.google.com/apps">গুগল প্লে স্টোরের</a> ওয়েবপেইজ থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারছেন।</p> <p dir="ltr"><img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/apps-1024x505.png"><a href="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/apps.png"></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones/apple?sort=date&by_paying_member=0&type=for_sale&filters%5B0%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B0%5D%5Bkey%5D=condition&filters%5B1%5D%5Btype%5D=money&filters%5B1%5D%5Bkey%5D=price&filters%5B2%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B2%5D%5Bkey%5D=brand&filters%5B2%5D%5Bvalues%5D%5B%5D=apple&filters%5B3%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B3%5D%5Bkey%5D=authenticity">আইফোন</a> ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল ওয়াচে থার্ডপার্টি অ্যাপ ইন্সটল করা, যা পূর্বের আইওএসে করা সম্ভব ছিল না, এবং এটি অ্যাপেলের বিশ্বস্ত ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। নতুন আপডেট আপনি কোন অ্যাপলিকেশনগুলো ইন্সটল করবেন সেগুলো বেছে নিতে আপনাকে সাহায্য করবে। পূর্বে আপনার ফোনের যে কোন অ্যাপ এন্ড্রয়েড ওয়্যার কম্প্যানিয়ন অ্যাপের মাধ্যমে আপনা আপনি ইন্সটল হয়ে যেত। এলজি ঘড়িগুলো গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সটল করা অবস্থায় আসে যা এন্ড্রয়েড ২.০ সাপোর্টেড ডিভাইসগুলোর স্ট্যানডার্ড ফিচার হিসেবে আসে।</p> <p dir="ltr"><img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/assistant-1024x505.png"><a href="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/assistant.png"></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones/google-nexus?sort=date&by_paying_member=0&type=for_sale&filters%5B0%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B0%5D%5Bkey%5D=condition&filters%5B1%5D%5Btype%5D=money&filters%5B1%5D%5Bkey%5D=price&filters%5B2%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B2%5D%5Bkey%5D=brand&filters%5B2%5D%5Bvalues%5D%5B%5D=google-nexus&filters%5B3%5D%5Btype%5D=enum&filters%5B3%5D%5Bkey%5D=authenticity">গুগল</a> স্মার্টওয়াচগুলো আরও সুবিধাজনকভাবে তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছে এবং এর প্রমাণ পাওয়া যায় এলজি ওয়াচ স্পোর্টের এলটিই এনটেনা, জিপিএস এবং এনএফসি-এর সংযোজনের মাধ্যমে। এলটিই নটিফিকেশন, কল, ম্যাসেজ ইত্যাদি আপনার ওয়াচে গ্রহণ করবে যদিও আপনি আপনার ফোন থেকে অনেক দূরে থাকেন। জিপিএস ফিটনেস উদ্যমীদের জন্য হবে বিশেষ আকর্ষণ কেননা এর মাধ্যমে দৌড়ের সঠিক ট্র্যাক রেকর্ড রাখা সম্ভব। এনএফসি একটি বিশেষ ডিল কেননা এর সাহায্যে <a href="https://www.android.com/intl/en_us/pay/">এন্ড্রয়েড-</a><a href="https://www.android.com/intl/en_us/pay/">পে</a>-এর মাধ্যমে মোবাইল পেমেন্টগুলো করা সম্ভব হবে।</p> <p dir="ltr"><img src="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/os-compatibility-1024x511.png"><a href="http://bnblog.bikroy.com/wp-content/uploads/2017/02/os-compatibility.png"></a></p> <p dir="ltr">যদিও এই উন্নতকরণগুলো অসাধারণ, কিন্তু তারপরও আমার মতে গুগলের কাছ থেকে এ ধরণের উন্নত সংস্করণ পাওয়াটা একটু দেরিই হয়েছে। কেননা আপডেট আসতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেছে, বেশিরভাগ উৎপাদনকারীরাই প্রায় অনেক দিন ধরে নতুন স্মার্টওয়াচ বাজারে আনা থেকে বিরত ছিল। এর কারণে বিক্রিও হয়েছে কম এবং খুব একটা লাভও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। প্রায় তিন বছর পর এন্ড্রইড ওয়্যার বাজারে আসলো, একই প্রশ্ন আবারও মাথায় আসছে। স্মার্টওয়াচকে <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/mobile-phones?sort=date&by_paying_member=0">স্মার্টফোনের</a> একটি বিশেষ এক্সেসরি হিসেবে ধরা হয়। গুগল এই ডিভাইসগুলোকে স্বীয় অর্থে অর্থবহ করা এবং স্মার্টফোনের এক্সেসরি হিসেবে না ধরে একটি স্বতন্ত্র ডিভাইস হিসেবে স্বীকৃতিলাভের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই আকর্ষণীয় <a href="http://bikroy.com/bn/ads/bangladesh/electronics?sort=date&by_paying_member=0">গ্যাজেট</a>গুলোর জন্য কোন সেলিং পয়েন্ট তৈরি হয়নি।</p>

নতুন প্রজন্মের এন্ড্রয়েড ওয়্যার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে!

নতুন প্রজন্মের এন্ড্রয়েড ওয়্যার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে!  স্মার্টওয়াচ  ফ্যানরা ২০১৬ সালের শুরু থেকে  এনড্রইড ওয়্যার ২.০ -এর আপডেটের জন্য ...

আরও পড়ুন »

পিসির হার্ডডিস্ক পার্টিশন এবং ড্রাইভ লেটার চেঞ্জ করুন নতুন করে উইন্ডোজ দেয়া ছাড়াই!

<p dir="ltr">(Techprokash) আমরা সাধারানত  উইন্ডোজ দেয়ার সময় হার্ডডিস্ক পার্টিশন করে থাকি কিন্তু সেটা উইন্ডোজ না দিয়েও করা যায়, সেটা অনেকে হয়ত জানেনা। এটাই দেখি কিভাবে করতে হয়। এর সাথে কিভাবে ড্রাইভ লেটার  চেঞ্জ করা যায় সেটাও বোনাস হিসেবে দেখব।</p> <p dir="ltr">একটা বিষয় এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনি যদি আপনার কোন ফাইল আছে এমন ড্রাইভ কে ভেঙে  দুইটা করতে চান তবে সেটার ডাটা অন্য ড্রাইভে কপি করে রাখবেন নয়ত ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে ।  আর  আন-আলোকোটেড স্পেস কে সহজেই ড্রাইভে রুপান্ত্রর করতে পারবেন।</p> <p dir="ltr"><b>কার্যপদ্ধতি : </b></p> <p dir="ltr">প্রথমে মাই My computer এ কার্সর রেখে Right button click করি। তারপর নিচের ধাপ অনুশরন করি।<br> Manage > Disk Management.<br></p> <p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-8FQ_8E4DkP4/WJywJ6RdykI/AAAAAAAAAL0/WtFsG_caW3Y/%25255BUNSET%25255D.png%20cursor:%20pointer;"></p> <p dir="ltr">সেখানে ডান পাশে দেখব আমাদের ড্রাইভ গুলোর নাম, Unallocated Space এগুলো।</p> <p dir="ltr"><b>ড্রাইভ লেটার চেঞ্জঃ</b></p> <p dir="ltr">ড্রাইভ লেটার চেঞ্জ এর জন্য যে ড্রাইভ এর লেটার চেঞ্জ করতে চাই সেই ড্রাইভের উপর কার্সর রেখে Right button ক্লিক করি। change drive letter and path এ ক্লিক করলে যে উইন্ডো আসবে সেখান থেকে change এ ক্লিক করে নিউ ড্রাইভ যেমন K, H, S ইত্যাদি সিলেক্ট করে ok প্রেস করি ব্যাস ড্রাইভ চেঞ্জ হয়ে গেল।<br></p> <p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-B-qjglTyu2g/WJywOsvC2tI/AAAAAAAAAL4/Mb33eKVZTnY/%25255BUNSET%25255D.png%20cursor:%20pointer;"></p> <p dir="ltr">এক্ষেত্রে যে লেটার দিবেন সেটা আগে কোন ড্রাইভে থাকলে কিন্তু হবে না। অবশ্যই নতুন লেটার হতে হবে।</p> <p dir="ltr">পার্টিশনঃ এখান থেকে আপনি চাইলে কোন ড্রাইভ ডিলেট অথাবা ফরম্যাট  দিতে পারবেন এবং Unallocated space থাকলে সেটা দিয়ে নিউ ড্রাইভ তৈরি করতে পারবেন। Unallocated space এর উপর মাউস রেখে Right button click করে Make a New volume এ ক্লিক করে নিউ ড্রাইভ তৈরি করতে পারবেন। এবং এবার my computer এ গিয়ে নিউ ড্রাইভটা কে একটা ফরম্যাট দিতে হবে। তারপর আপনি আপনার ডাটা এখানে রাখতে পারবেন।<br></p> <p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-8vK9KHpcNA8/WJyxE-W54sI/AAAAAAAAAME/RgfMipMwpR4/%25255BUNSET%25255D.png%20cursor:%20pointer;"></p> <p dir="ltr">এবার আসি কিভাবে আগের করা কোন ড্রাইভ পার্টিশন করবেন, যে ড্রাইভ কে পার্টিশন করতে চান তার উপর কার্সর রেখে right button ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Shrink Volume। ক্লিক করার পর একটা উইন্ডো আসবে যেখানে কত সাইজ এর মধ্যে নিউ ড্রাইভ করতে পারবেন সেটা দেখাবে। সেখান থেকে আপনার ইচ্ছা মত সাইজ সিলেক্ট করে shrink বাটনে ক্লিক করলেই নিউ একটা ড্রাইভ হয়ে যাবে। এবার my computer গিয়ে নিউ ড্রাইভটা কে একটা ফরম্যাট দিতে হবে।</p> <p dir="ltr">আজ এ পর্যন্তই। আশাকরি আপনারা বুঝতে পারবেন।</p>

পিসির হার্ডডিস্ক পার্টিশন এবং ড্রাইভ লেটার চেঞ্জ করুন নতুন করে উইন্ডোজ দেয়া ছাড়াই!

(Techprokash) আমরা সাধারানত  উইন্ডোজ দেয়ার সময় হার্ডডিস্ক পার্টিশন করে থাকি কিন্তু সেটা উইন্ডোজ না দিয়েও করা যায়, সেটা অনেকে হয়ত জানেনা...

আরও পড়ুন »