+8801738267201

0
জাহাজের নাবিক ও বৈমানিকদের কাছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পাপাড্রাদের ত্রিভুজ নামে পরিচিত ।এটি আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি রহস্যময় অঞ্চল । বহু গবেষনা করে আজ পর্যন্ত এর রহস্যভেদ করা সম্ভব হয়নি । ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে য়ে এ অঞ্চলটিতে একুশটি বিভিন্ন বিমান এবং পঞ্চাশ / বায়ান্নটি জাহাজ অভাবনীয় উপায়ে নিখোজ হয়েছে । প্রতিবারেই দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েও কোন বিমান বা জাহাজ উদ্ধার করা তো দুরের কথা, এমনকি সন্ধানও পাওয়া যায় নি ।তিন বাহুর দ্বারা অঞ্চলটি সীমাবদ্ধ বলে একে ট্রায়াঙ্গেল বা ত্রিভুজ নামে অভিহিত করা হয় ।এর উত্তর দিকে বারমুডা, পশ্চিম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং দক্ষিনে পুয়োর্টোরিকা অবস্থিত ।এ ত্রিভুজের আয়তন প্রায় পনের হাজার বর্গমাইল ।বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে কোন বিমান বা  জাহাজ প্রবেশ করা মাত্র রেডিও তরঙ্গ (মোবাইল নেটওয়ার্ক ) আকস্মিকভাবে নিষ্ক্রয় হয়ে যায় ।কিছুতেই রেডিও তরঙ্গ প্রেরন করা সম্ভব হয় না ।কি করে যে এরকম একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে তা আজকের কৃতী বিজ্ঞানীদের কাছেও রহস্যের আড়ালে রয়ে গেছে ।বিশেষ করে 1945 সালের একটি ঘটনার কথা আজও বিজ্ঞানীদের কাছে আতঙ্কের সৃষ্টি করে । ঘটনাটি এরকম।
_46373295_bermuda_tri_flights_466

সে বছরের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি বিমান নিয়ে পাইলটদের প্রশিক্ষণ চলছিল । স্বাভবিকভাবেই বিমানগুলো উড়তে উড়তে বারমুডার ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলে প্রবেশ করে । ব্যাস, তাদের রেডিও থেকে সংকেত আসা বন্ধ হয়ে গেল ।রেডিও সংবাদ গ্রাহকগন পড়লেন মহা দুশ্চিান্তায় । বহু চেষ্টা করেও কোন বিমানের কোন পাইলটের সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি ।পাঁচটি বিমানে পাঁচজন শিক্ষানবীশ পাইলট ছাড়াও কয়েকজন শিক্ষক পাইলট এবং অন্য কয়েকজন শিক্ষানবীশও ছিল । আর পাঁচটি বিমান থেকে সেই যে বেতার তরঙ্গ প্রেরন বন্ধ হল তা আর কোনদিনই পাওয়া গেল না ।চিরদিনের মতই স্তব্ধ হয়ে গেল । তাদের খোঁজে পরবর্তীতে বহু বিমান চিরুনী চালিয়েও রহস্যভেদ করতে পারেনি।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল 1968 সালে ।সে বছর আমেরিকার একটি অ্যাটমিক সাবমেরিন “স্বরপিয়ন” বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল অঞ্চলে চলে যায় । ব্যাস, এ পর্যন্তই জানা গেছে । তারপর “স্বরপিয়নের” কি গতি হল বহু অনুসন্ধান করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়‍নি ।অভিশপ্ত এ অঞ্চলটিতে বিমান ও জাহাজের সংগে এক হাজারেরও বেশি পাইলট, নাবিক ও যাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে । আজ পর্যন্ত বহু গবেষক উক্ত রহস্যভেদ করার জন্য দীর্ঘ নিরলস গবেষনায় লিপ্ত রয়েছেন । কিন্তু কারও পক্ষেই উক্ত রহস্যভেদ করা সম্ভব হয়নি ।তবে কোন কোন গবেষক অনুমান নির্ভর মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন সুতীব্র নিম্নমুখী বায়ু প্র্রবাহেই বিমান ও জাহাজ কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ।তারপর প্র্রবল সমুদ্রস্র্রোত জাহাজ বা বিমান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে বহু দুরবর্তী অঞ্চলে গিয়ে কম স্রোত সম্বলিত অঞ্চলে তলিয়ে যায় । আজও পর্যন্ত এর সুষ্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৈাছানো সম্ভব হয়নি ।

আমার সবগুলো Post একসাথে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.