স্মার্টফোনের
ব্যবহার আমাদের দেশে অনেক বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণদের কাছে। স্মার্টফোনে
সবাই কমবেশি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করছেন। ভালো খবর হচ্ছে, এই
অ্যাপ নির্মাতার সংখ্যাও আমাদের দেশে দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই অ্যাপ
নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন এবং সেটা অবশ্যই একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
প্রযুক্তির দুনিয়াতেও আছে অ্যাপের বিশাল বাজার।
অ্যাপ বানানোর বেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। খুব সাধারণ একটা অ্যাপ সুন্দর চেহারা (ইন্টারফেস) দিয়ে বানিয়ে অনেকেই সাফল্য পেয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে, ‘ফ্ল্যাশ লাইট’ বা ‘টিপ ক্যালকুলেটর’-এর কথা বলা যায়। যেগুলো খুব সাধারণ কিন্তু দরকারি। এবার জানা যাক অ্যাপ বানাতে চাইলে কী করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপ মূলত চারটি অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়—আইওএস (আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য), অ্যান্ড্রয়েড (স্যামসাং, সনি ইত্যাদি বেশির ভাগ স্মার্টফোনের জন্য), উইন্ডোজ ফোন (নকিয়া) ও ব্ল্যাকবেরি। এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসভিত্তিক অ্যাপের সংখ্যা বেশি।
আইওএস অ্যাপ বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা অবজেক্টিভ সি বা সুইফট ব্যবহার করতে হয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য জাভা এবং উইন্ডোজের জন্য সি শার্প জানতে হবে। ব্লাকবেরির জন্য সি++, অ্যান্ড্রয়েড রান-টাইম, এইচটিএমএল ৫ বা অ্যাডব এয়ার দিয়ে অ্যাপ করা যায়। এই প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো যাঁরা জানেন না, তাঁরা ইন্টারনেট ঘেঁটে বা পরিচিত কারও কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন, খুব কঠিন কিছু নয়। আর যদি কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা না জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই সি দিয়ে শুরু করুন; লেগে থাকুন, শিখতে খুব বেশি দিন লাগবে না। সি শেখা শুরু করতে পারেন তামিম শাহরিয়ারের লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (১ম খণ্ড) বই থেকে। পাশাপাশি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন কোর্সটি করে নিতে পারেন যেকোনো সময়, বিনা মূল্যে।
আইওএসে কাজ করার জন্য একটা অ্যাপল কম্পিউটার লাগবে—ম্যাকবুক, আইম্যাক বা ম্যাক মিনি। বাজেট কম হলে ম্যাক মিনি কিনতে পারেন। আইওএস প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করুন অ্যাপলের ডেভেলপার ওয়েবসাইট (https://developer.apple.com) থেকে, এখানে আপনি আইওএস শেখার যাবতীয় জিনিস পেয়ে যাবেন। আপনি অ্যাপলের গাইড অনুসরণ করতে পারেন, খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সবকিছু লেখা আছে ওখানে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনেক সহজভাবে ব্যাখ্যা করা টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেসবের সাহায্যও নিতে পারেন। টিউটোরিয়াল পাওয়ার গুগলে ‘iOS tutorial’ লিখে খোঁজ করুন। বাংলা টিউটোরিয়ালের জন্য শিক্ষক ডট কমে (www.shikkhok.com) আইফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোর্সের সাহায্য নিতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ তৈরি করা যায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই। শুরুটা করুন অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার সাইট (developer.android.com) থেকে। ওখানে Get Started মেনু ধরে এগিয়ে যান। বাকিটা নিজেই বুঝে যাবেন। ট্রেনিং বলে একটা আলাদা বিভাগ আছে ডেভেলপার সাইটে, যা শুরু করার জন্য খুবই কার্যকরী। ওরেলির লার্নিং অ্যান্ড্রয়েড বইটা দেখতে পারেন। শিক্ষক ডট কমে বাংলা টিউটোরিয়ালও পাবেন। udacity.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে একটি চমৎকার অনলাইন কোর্স আছে, সেটিও দেখতে পারেন।
যাঁরা ওয়েব প্রোগ্রামিং করছেন, তাঁরা টাইটেনিয়াম, ফোনগ্যাপ ইত্যাদি দিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে পারেন।
উইন্ডোজ শেখার জন্যও উইন্ডোজ ডেভেলপার সাইট (http://dev.windows.com) ঘেঁটে দেখুন। আসল কথা হচ্ছে, সব কটা প্লাটফর্মের শুধু ডেভেলপার সাইটেই শেখা শুরু করার জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। আপনাকে শুধু ওগুলো অনুসরণ করতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। সমস্যায় পড়লে গুগলের সাহায্য নিন, দু-চারটা ব্লগ পড়ুন, সমাধান পেয়ে যাবেন
অ্যাপ বানানোর বেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। খুব সাধারণ একটা অ্যাপ সুন্দর চেহারা (ইন্টারফেস) দিয়ে বানিয়ে অনেকেই সাফল্য পেয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে, ‘ফ্ল্যাশ লাইট’ বা ‘টিপ ক্যালকুলেটর’-এর কথা বলা যায়। যেগুলো খুব সাধারণ কিন্তু দরকারি। এবার জানা যাক অ্যাপ বানাতে চাইলে কী করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপ মূলত চারটি অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়—আইওএস (আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য), অ্যান্ড্রয়েড (স্যামসাং, সনি ইত্যাদি বেশির ভাগ স্মার্টফোনের জন্য), উইন্ডোজ ফোন (নকিয়া) ও ব্ল্যাকবেরি। এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসভিত্তিক অ্যাপের সংখ্যা বেশি।
আইওএস অ্যাপ বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা অবজেক্টিভ সি বা সুইফট ব্যবহার করতে হয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য জাভা এবং উইন্ডোজের জন্য সি শার্প জানতে হবে। ব্লাকবেরির জন্য সি++, অ্যান্ড্রয়েড রান-টাইম, এইচটিএমএল ৫ বা অ্যাডব এয়ার দিয়ে অ্যাপ করা যায়। এই প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো যাঁরা জানেন না, তাঁরা ইন্টারনেট ঘেঁটে বা পরিচিত কারও কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন, খুব কঠিন কিছু নয়। আর যদি কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা না জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই সি দিয়ে শুরু করুন; লেগে থাকুন, শিখতে খুব বেশি দিন লাগবে না। সি শেখা শুরু করতে পারেন তামিম শাহরিয়ারের লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (১ম খণ্ড) বই থেকে। পাশাপাশি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন কোর্সটি করে নিতে পারেন যেকোনো সময়, বিনা মূল্যে।
আইওএসে কাজ করার জন্য একটা অ্যাপল কম্পিউটার লাগবে—ম্যাকবুক, আইম্যাক বা ম্যাক মিনি। বাজেট কম হলে ম্যাক মিনি কিনতে পারেন। আইওএস প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করুন অ্যাপলের ডেভেলপার ওয়েবসাইট (https://developer.apple.com) থেকে, এখানে আপনি আইওএস শেখার যাবতীয় জিনিস পেয়ে যাবেন। আপনি অ্যাপলের গাইড অনুসরণ করতে পারেন, খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সবকিছু লেখা আছে ওখানে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনেক সহজভাবে ব্যাখ্যা করা টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেসবের সাহায্যও নিতে পারেন। টিউটোরিয়াল পাওয়ার গুগলে ‘iOS tutorial’ লিখে খোঁজ করুন। বাংলা টিউটোরিয়ালের জন্য শিক্ষক ডট কমে (www.shikkhok.com) আইফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোর্সের সাহায্য নিতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ তৈরি করা যায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই। শুরুটা করুন অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার সাইট (developer.android.com) থেকে। ওখানে Get Started মেনু ধরে এগিয়ে যান। বাকিটা নিজেই বুঝে যাবেন। ট্রেনিং বলে একটা আলাদা বিভাগ আছে ডেভেলপার সাইটে, যা শুরু করার জন্য খুবই কার্যকরী। ওরেলির লার্নিং অ্যান্ড্রয়েড বইটা দেখতে পারেন। শিক্ষক ডট কমে বাংলা টিউটোরিয়ালও পাবেন। udacity.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে একটি চমৎকার অনলাইন কোর্স আছে, সেটিও দেখতে পারেন।
যাঁরা ওয়েব প্রোগ্রামিং করছেন, তাঁরা টাইটেনিয়াম, ফোনগ্যাপ ইত্যাদি দিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে পারেন।
উইন্ডোজ শেখার জন্যও উইন্ডোজ ডেভেলপার সাইট (http://dev.windows.com) ঘেঁটে দেখুন। আসল কথা হচ্ছে, সব কটা প্লাটফর্মের শুধু ডেভেলপার সাইটেই শেখা শুরু করার জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। আপনাকে শুধু ওগুলো অনুসরণ করতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। সমস্যায় পড়লে গুগলের সাহায্য নিন, দু-চারটা ব্লগ পড়ুন, সমাধান পেয়ে যাবেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
2 মন্তব্য(গুলি)
Hasan Mahamud
Hasan Mahamud
Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.