এরইমধ্যে বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীই সমস্যাটির মুখোমুখি হয়েছেন। আরও অনেকে যে এ সমস্যায় পড়বেন তা বলাই বাহুল্য। বলছিলাম ‘অথেনটিক অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফেসবুক পরিচালিত বর্তমান শুদ্ধি আভিযানটির কথা।
পৃথিবীর কোটি কোটি লোকের ঠিকুজিতে ঋদ্ধ ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন। যাদের অনেকেই কাব্যিক ও ছদ্মনাম ব্যবহার করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কেউ কেউ পরিচয় লুকিয়ে ‘নেতিবাচক উদ্দেশ্য’ নিয়ে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করলেও, অবাধ সাইবার দুনিয়ায় বিপন্ন প্রাইভেসি রক্ষার ক্ষীণ চেষ্টায়ও কেউ কেউ মুখ লুকোতে চান এ ধরনের ছদ্মনাম বা সুডনিমের আড়ালে। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করতে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে ফেসবুক। কেননা, ফেসবুক চায় এর ব্যবহারকারীরা নিজেদের দাফতরিক নামেই স্ব স্ব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করুক।
তাই সাধু সাবধান! কোন দিন দেখবেন, বলা নেই কওয়া নেই, সাধের ফেসবুক থেকে আপনি বেমালুম লাপাত্তা। লগ-ইন করতে গেলেই ব্রাউজারে গোটা গোটা অক্ষরে আপনার আইডেন্টিটি কার্ড দেখাতে বলছে। অতএব, আগে থেকে প্রস্তুত থাকুন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, ইউটিলিটি বিল, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্রফেশনাল আইডি, অ্যাম্প্লয়মেন্ট ভেরিফিকেশন লেটার, লাইব্রেরি কার্ড, মেডিকেল রেকর্ড, সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদির স্ক্যান কপি হাতের কাছেই রাখুন। এর সবগুলো লাগবে না। সরকারি একটি আর বেসরকারি গোটা দুই হাতের কাছে থাকলেই দিব্যি চলে যাবে। সবচেয়ে ভালো হয় জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি হলে।
যারা ফেসবুককে ‘ফেকবুক’ হিসেবে চালাতে চান, তাদের জন্য কোন উপদেশ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যারা ঝামেলাহীন নির্ভীক ফেসবুক জীবনযাপনে আগ্রহী, তারা চটজলদি আইডি কার্ডটা বুকপকেটে রাখুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্য(গুলি)
Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.